Select Page

সুইডেন যাবেন কিভাবে ? এয়ারপোর্ট গাইড লাইন

May 8, 2021 | ভিসা ব্যবস্থা, ভ্রমন

ঢাকা এয়ারপোর্ট:

১. আমার জানামতে দোতলায় আন্তর্জাতিক বহিঃ গমন টার্মিনাল অবস্থিত। আপনি সোজা আপনার নিজের বা ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে দোতলায় চলে যাবেন তবে টার্মিনালে ঢুকার আগেই যাত্রী বাদে সবাইকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে হতে পারে।

২. গাড়ি থেকে নেমে দেখবেন অনেক ট্রলি আছে। একটি ট্রলি নিয়ে তাতে আপনার সুটকেস ইত্যাদি তুলে নিন। ট্রলি না পেলে উপস্থিত আনসার বা পুলিশকে বলুন , উনারা সাহার্য্য করবে।

৩. হাতে বা হাতের কাছে পাসপোর্ট ও টিকিট রাখুন। অনলাইনে টিকিট কিনলে বা এজাতিয় কিছু করলেও , টিকিটের একটি প্রিন্ট কপি সাথে রাখবেন। ঢাকা এয়ারপোর্ট অদ্ভুত জায়গা !!!! গেট দিয়ে ঢুকার সময় টিকিট ও পাসপোর্ট দেখতে চাইবে।

৪. গেট দিয়ে ঢুকার সাথে সাথে দেখবেন সুটকেস স্ক্যান মেশিন। সেখানে সুটকেস স্ক্যান করে সিকুইরিটি ট্যাগ এর কাগজ সুটকেসে লাগিয়ে দিবে। ট্যাগ দিতে ভুলে গেলেও সাধারনত সমস্যা হয় না। সুইটকেসগুলি আবার ট্রলিতে তুলে নিন।

৫. এবার একটি ভিতরের দিকে গেলেই আপনার এয়ারলাইন্স এর কাউন্টার দেখতে পাবেন। সাধারনত প্লেন ছাড়ার ২/৩ ঘন্টা আগেই এই কাউন্টার খুলে। কাউন্টারে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যান। যারা ওই এয়ারলাইন্স এর মেম্বার তাদের জন্য আলাদা লাইন থাকতে পারে।

৬. এয়ারলাইন্স কাউন্টারে আপনার পাসপোর্ট দিলেই হবে , সাথে টিকিট দিলে আরো ভালো। কাউন্টারে যিনি আছেন, উনি আপনার স্যুটকেস ওজন করবেন। একাদিক সুটকেস থাকলে প্রতিটির জন্য আলাদা করে ট্যাগ বা ছোট একটি কাগজ আপনাকে দিবে এবং সুটকেস গুলি নিয়ে নিবে। আপনি অবশ্যই বলবেন সুটকেস যেন সুইডেন পর্যন্ত বুকিং দিয়ে দেয়। এরপর উনি আপনাকে ২টি বোডিং কার্ড দিবে। একটি ঢাকা থেকে দুবাই/দোহা / ইস্তাম্বুল এবং অন্যটি দুবাই/দোহা / ইস্তাম্বুল থেকে সুইডেন / ডেনমার্ক এর। ২ টি বোডিং কার্ডে সিট্ নম্বর লেখা থাকবে। এ সিরিয়াল সিট্ পেলে বুঝবেন নিশ্চিতভাবেই জানালার পাশে সিট্ পেয়েছেন।

৭. এবার একটু হেঁটে আরো সামনের দিকে চলে যান। এখন দেখতে পাবেন বহিঃগমন কার্ড আছে অনেক জায়গাতে। একটি নিয়ে কার্ড এ লিখে ফেলুন যা যা লিখতে হবে। বহিঃগমন কার্ড বাসাতে বসেও ফিলআপ করে আনতে পারেন। অনলাইনে করা যায় মনে হয় তবে নিশ্চিত না।

৮. বহিঃগমন কার্ড + পাসপোর্ট + বোডিং পাস্ নিয়ে এবার ইমিগ্রেশন এ লাইনে দাঁড়িয়ে যান। অনেক লম্বা লাইন হতে পারে। তাই এয়ারপোর্টে প্লেন ছাড়ার ২ থেকে ৪ ঘন্টা আগেই যাবার চেষ্টা করবেন।

৯. ইম্মিগ্রাশনে জয়া আহসানের আসল বয়স কত ? এরকম প্রশ্ন করলে অবাক হবেন না। মাথা ঠান্ডা করে ভদ্রভাবে উত্তর দিন। ওই অফিসার আপনার একটি ছবি তুলবে এবং আপনার পাসপোর্টে একটি সিল মেরে দিবে। এবার সামনের দিকে এগিয়ে যান।

১০. এখানে বসার জায়গা আছে , বেশ কিছু দোকানপাট ও টয়লেট আছে। এছাড়া কিছু লাউঞ্জ আছে। যাদের এই লাউঞ্জে যাবার অনুমতি আছে উনারা সেখানে গিয়ে বিশ্রাম ও খাওয়াদাওয়া করতে পারেন। তবে সেগুলির আগে এখানে থাকা টিভিতে দেখে নিবেন আপনার প্লেন কত নম্বর গেট থেকে ছাড়বে।

১১. টিভিতে লেখা গেট নম্বর দেখে সেদিকে হাঁটা দিন। সেখানে পৌঁছে দেখবেন আবার সিকিউরিটি চেক হবে। শেষ এই সিকিউরিটি চেক হবার পরে আবার বসার একটু জায়গা থাকে , এখানে বসে থাকুন।

১২. এরপর প্লেনে উঠার দরজা খুললে , লাইনধরে প্লেনে উঠে পরুন। আপনার নির্দিষ্ট সিটে বসুন , অন্য কারো সিটে বসা অথবা নিজের সিট্ পরিবর্তন না করাই ভালো।

১৩. প্লেনে অতি অখাদ্য কিছু খাবার দিতে পারে। চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিন , এনার্জি লাগবে। প্লেনে মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন, সুইডেনের বদলে সুদান চলে গেলে সমস্যা আপনার হবে।

১৪. সুইডেনের ভিসা পাওয়াতে নিজেকে উচ্চ শ্রেণী ভাববেন না। আপনার পাশে বসা বাংলাদেশের যে শ্রমিকটি বিদেশে গিয়ে দেশের জন্য টাকা পাঠায় , তাকে সম্ম্মান করুন। মনে রাখবেন আমরা সবাই তাদের কাছে ঋণী। সম্ভব হলে ফর্ম ফিলাপ সহ এই জাতীয় কাছে উনাদের সাহার্য্য করুন।

দুবাই/দোহা / ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট: এই এয়ারপোর্ট গুলি অনেক বড়। আপনি এখানে ট্রানজিট প্যাসেঞ্জের। মানে হলো এখন আপনাকে প্লেন পরিবর্তন করতে হবে।

১. ঢাকা থেকে দুবাই/দোহা / ইস্তাম্বুল এ প্লেন অনেক সময় এয়ারপোর্ট থেকে অনেক দূরে থামে , এরকম হলে ওরাই আপনাকে একটি বিশেষ বাসে করে এয়ারপোর্টের মধ্যে নিয়ে যাবে , চিন্তার কিছু নেই। বাসে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগতে পারে। দাঁড়িয়ে যেতে হতে পারে।

২. দুবাই/দোহা / ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট ঢুকেই টিভিতে দেখে নিন ,,সুইডেনের প্লেন কত নম্বর গেট থেকে ছাড়বে। আপনাকে সেই গেটে যেতে হলে এয়ারপোর্ট ট্রেন ব্যবহার করতে হতে পারে। তাই কিছু না বুঝলে এয়ারপোর্টের ইনফরমেশন সেন্টার থেকে জেনে নিন। আমার মত ইংরেজি না জানলে ,,,হাতে থাকা বোডিং পাসটি দেখাবেন ,,,উনি বুঝে যাবে।

৩. দুবাই/দোহা / ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট অনেক অনেক খাবার, কেনাকাটা ও টয়লেট আছে , সুতরাং চিন্তার কিছু নেই।

৪. আপনার যদি ৫ ঘন্টার বেশি ট্রানজিট সময় থাকে তবে এয়ারপোর্ট এর হোটেল এ থাকতে পারবেন। টিকিটের সাথে এটি ফ্রি না হলে অনেক টাকা নষ্ট হবে। এছাড়া আলাদা “ভিসা” নিয়ে তারপর দুবাই/দোহা / ইস্তাম্বুল ঘুরতে পারবেন তবে যারা প্রথমবার বিদেশ ভ্রমন করতেছেন বা সাথে বাচ্চা আছে তারা সবাই এই ঘুরাঘুরির পরিকল্পনা বাদ দিতে পারেন।

৫. এবার টিভিতে লেখা সুইডেনে যাবার প্লেনের গেট নম্বর দেখে সেদিকে হাঁটা দিন। সেখানে পৌঁছে দেখবেন আবার সিকিউরিটি চেক হবে। শেষ এই সিকিউরিটি চেক হবার পরে আবার বসার একটু জায়গা থাকে , এখানে বসে থাকুন। এরপর প্লেনে উঠার দরজা খুললে , লাইনধরে প্লেনে উঠে পরুন। আপনার নির্দিষ্ট সিটে বসুন , অন্য কারো সিটে বসা অথবা নিজের সিট্ পরিবর্তন না করাই ভালো। প্লেনে অতি অখাদ্য কিছু খাবার দিতে পারে। চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিন , এনার্জি লাগবে। এবার দেখবেন প্লেনের অনেক সিট্ খালি থাকবে, এবং প্লেনের সবার ব্যবহার অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।

** সাথে সুন্দরী বৌ থাকলে সাবধান। এয়ারপোর্টে অনেক দামী দামী ব্রান্ডের দোকান আছে। সেখানে বৌ কিছু পছন্দ করলে আপনার ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের ১২ টা বেজে যেতে পারে

সুইডেনের এয়ারপোর্ট : সুইডেনের এয়ারপোর্ট গুলি সাধারণত ছোট ছোট। তাই ঝামেলা কম।

১. প্লেন থেকে নেমে সবাই যেদিকে হাটা দিবে, সেদিকেই এগিয়ে যান। উপরে দেখবেন লেখা আছে “এরাইভাল”

২. একটি জায়গায় দেখবেন লেখা আছে , “কাস্টম ডিক্লেয়ার” সাধারণত হলুদ রঙের হয় , পাশেই একটি সবুজ রঙের লেখা দেখতে পাবেন , সেটাকে অনেক গ্রীন চ্যানেল বলে , মানে হলো আপনার কাছে বলার মত কিছু নেই। অবশ্য অবশ্যই এই গ্রীন চ্যানেল বা সবুজ দিয়ে বের হয়ে যান।

৩. এবার পাসপোর্ট এর লাইন। মূলত ২ টি লাইন একটি ইউরোপিয়ানদের জন্য এবং অন্যটি বিদেশিদের জন্য। বিদেশী লাইনে দাঁড়ায়ে যান। শুধু পাসপোর্ট আর ইউটি কার্ড দিন। আর কিছু লাগবে না। এরপর অফিসার চাইলে কিছু ভর্তির কাগজ দেখাতে হতে পারে। অফিসার এরপরে আপনার পাসপোর্টে সিল দিয়ে দিবে। এবার আবার হাঁটা দিন।

৪. লাগেজ বা বেল্ট সিম্বল দেয়া আছে ,,সেদিকে যান। সুটকেস ফেরত নেবার বেল্ট এর লাইনে দাঁড়ানোর আগে দেখেনিন এটি আপনার প্লেনের কি না। এই বেল্ট এ দাঁড়ানোর আগেই একটি ট্রলি নিয়ে নিবেন।

৫. স্যুটকেস পেয়ে গেলে ট্রলিতে নিয়ে হাঁটা দিন। দুর্ভাগ্য বশত সুটকেস না পেলে, সেখানে অভিযোগ কাউন্টারে অভিযোগ জানিয়ে একটি পেপার নিয়ে নিন।

৬. ক্ষুদার্থ থাকলে কিছু খেয়ে নিন। আগে থেকে জানা না থাকলে এরপর আপনার গন্তব্যে যাবার উপায় জেনে নিন ইনফরমেশন সেন্টার থেকে।

৭. সুইডেনের প্রতিটি বড় এয়ারপোর্ট থেকে ট্রেন ও বাস আছে। সঠিক ট্রেন বা বাসে উঠে পরুন। ট্যাক্সি নিবেন না , কারন সুইডেনে ট্যাক্সি এর খরচ অনেক অনেক বেশি।

কোন এয়ারলাইন ভালো ?আমার মতে সুইডেনে যাতায়াত করে ভালো এয়ারলাইন রয়েছে মোট ৩ টি। যথা

ক ) Emirates এটি ঢাকা থেকে দুবাই নিয়ে যাবে এরপর দুবাই থেকে স্টোকহোম। এটির খরচ সবচেয়ে বেশি। তবে সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো সার্ভিস দেয় এছাড়া দুবাই এয়ারপোর্টে সময় কাটাতে খারাপ লাগে না।

খ) Qatar airways এটি ঢাকা থেকে দোহা নিয়ে যাবে এরপর দোহা থেকে স্টোকহোম। এটির খরচ তুলনামূলক মাঝামাঝি । তবে সবকিছু মিলিয়ে মোটামুটি ভালো সার্ভিস দেয়। তবে দোহা এয়ারপোর্টে সময় কাটাতে ভালো লাগে না।

গ) Turkish airlines এটি এটি ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল নিয়ে যাবে এরপর ইস্তাম্বুল থেকে স্টোকহোম। এটির খরচ সবচেয়ে কম । সস্তার তিন অবস্থা। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট মোটামুটি , খাবারের ভালো ব্যবস্থা থাকলেও এদের ব্যবহার ভালো না। যদিও আমার সাথে কোনো খারাপ কিছু হয় নি। তবু আমি টার্কিশ পছন্দ করি না।

উপরোক্ত ৩ টি এয়ারলাইন এর বাহিরে আর কোনো এয়ারলাইন নেই , যেটা মাত্র একটি ব্রেক দিয়ে সুইডেনে যায়। যারা নতুন আসবেন তারা ওই তিনটি এর বাহিরে অন্য টিকিট কাটলে পস্তাতে হতে পারে। যেমন etihad ইতিহাদের টিকিট কাটলে ঢাকা থেকে আবুধাবি ,,আবার আবুধাবি থেকে জার্মানি আবার জার্মানি থেকে সুইডেন যেতে হবে। আমার কাছে এতবার নামা উঠা বিরক্তি কর।

টিকিট বোডিং পাস্ এবং সিট্ নম্বর কেমন ?

দিন বদলে গেছে ,,, এখন আর প্রথাগত টিকিট নেই। সুতরাং আপনি টিকিট কাটলে আপনাকে একটি বিশেষ নম্বর দিবে , মনেকরুন QWER1245abcd ,,, এই নম্বরটি আপনার টিকিট , আর অন্য কিছুর দরকার নেই। ঢাকা থেকে সুইডেনে আসার সময় অনলাইনে বোডিং পাস্ নেয়া যায় না। নতুন করে চালু করেছে কিনা জানি না। তবে যাত্রার ২৪ ঘন্টা আগে ,,আপনি আপনার টিকিটের নম্বর দিয়ে ওই এয়ারলাইন এ লগইন করে আপনার পছন্দের সিট্ নিতে পারবেন। তাহলে এয়ারপোর্টে এসে “ছার্ আমারে জানালার পাশে ছিট্ দিয়েন” বলে চিল্লাইতে হবে না। প্লেনের সাইজ অনুযায়ী সিট্ হয়। তবে A সিরিয়ালে সিট্ নিলে সেটা সব সময় জানালার পাশের সিট্ হবে !

বিশেষ কিছু পরামর্শ

ক ) ক্যাশ ১০০ ডলার সাথে রাখুন। কোন সময় কাজে লাগে বলা যায় না। খরচ না হলে আপনার টাকা আপনার থাকবে। কিন্তু খরচের দরকার হলে আর টাকা না থাকলে কিন্তু বিপদ।

খ ) সুইডেনের এয়ারপোর্টেইঅনেক দোকানেই প্রিপেইড comviq kontant এর সিম কার্ড পাবেন , মাঝে মাঝে মাগনা দেয়. একটি কিনুন , যে দোকান থেকে কিনবেন তাকে বলবেন amigos (100 sek) রিচার্জ করে দিতে। প্রথম দশ দিন এই সিম কার্ড আপনাকে নানা ভাবে সাহার্য্য করবে। পরে এই সিমকার্ড ফেলে আপনার পছন্দ মতো যা খুশি ব্যবহার করতে পারেন। উল্লেখ যোগ্য যে ,, মোবাইল সিম কার্ড কিনতে কোনো কাগজপত্র লাগে না। ভয়াবহ বিপদ হলে (ডাক্তার পুলিশ আগুন ),,,নির্ভয়ে ১১২ নম্বর এ ফোন দিন। সুইডেনে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ১১২ এ ফোন দিতে পারবেন। এমনকি মোবাইলে কোনো সিমকার্ড না থাকলেও ১১২ নাম্বারে ফোন দেয়া যায় !!!

গ ) পাসপোর্ট টিকিট এবং ভর্তির অফারলেটার সহ এই ধরণের কাগজপত্র হাতের কাছে রাখুন (হ্যান্ডব্যাগ ),, ভুলেও এইগুলি বড় সুটকেসে ঢুকাবেন না। কারণ বিভিন্ন এয়ারপোর্টে আপনাকে এইগুলি দেখাতে হতে পারে।

ঘ ) সুইডেনের ভিসা পাওয়াতে নিজেকে উচ্চ শ্রেণী ভাববেন না। আপনার পাশে বসা বাংলাদেশের যে শ্রমিকটি বিদেশে গিয়ে দেশের জন্য টাকা পাঠায় , তাকে সম্ম্মান করুন। মনে রাখবেন আমরা সবাই তাদের কাছে ঋণী। সম্ভব হলে ফর্ম ফিলাপ সহ এই জাতীয় কাছে উনাদের সাহার্য্য করুন।

উ) প্লেনে মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন, সুইডেনের বদলে সুদান চলে গেলে সমস্যা আপনার হবে।

চ) ভদ্রতা বজায় রাখুন। পাশের সুন্দরী আপু ভাবীদের বিরক্ত করবেন না। মনে রাখবেন উনাদের একটি কমপ্লেন আপনার ইউরোপের জীবনকে দুর্বিষহ করে দিতে পারে।

ছ ) ভুলেও অন্য কারো ব্যাগ অথবা মাল ,,, নিজের নাম বুকিং দিবেন না। ছোট্ট ভুলের কারণে সারা জীবন জেল খাটতে হতে পারে।

জ) সুইডেনে অনেক সময় ব্যাগ পাসপোর্ট কিছুই দেখা হয় না। নিশ্চিন্তে বের হয়ে যান , সমস্যা নেই। আগের মতো পাসপোর্টে সিল থাপ্পড় এখন না থাকলেও সমস্যা নেই।

ঝ) আপনার ইউনিভার্সিটি তে একটি এমার্জেন্সি হেল্প নম্বর আছে। সেটি জেনে রাখুন।

মনে করুন ,,যে কোনো কারণে আপনার এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলো ,,,, ফলে আপনার প্লেনটি ধরতে পারলেন না। এখন কি হবে ? নতুন করে কি আবার টিকিট কাটতে হবে নাকি বিকল্প কিছু আছে ?

এইসকল প্রশ্নের সহজ উত্তর নেই। আসুন কিছু আইনের কথা সহজ ভাষায় জানি। এয়ারপোর্ট সংক্রান্ত একটি আইন আছে ,,,যেটার নাম হলো airport two hour rule অথবা flat tire rule.

এই আইনে বলা আছে ,,,প্লেন ছেড়ে যাবার নির্দিষ্ট সময়ের পরের ২ ঘন্টার মধ্যে যদি আপনি যদি এয়ারপোর্টে হাজির হন এবং এয়ারপোর্টে পৌঁছানোতে দেরি হবার কারণটি আপনার ইচ্ছাকৃত না। তাহলে আপনি ওই এয়ার লাইন্স এর পরবর্তী ফ্লাইট অথবা পরের দিনের ফ্লাইটের টিকিট পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সামান্য কিছু টাকা দিতে হতে পারে, যেটাকে বলে “rescue fee”, এই রেসকিউ ফি এর পরিমান শূন্য থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ ডলার বা ১০০ পাউন্ড হতে পারে। সাধারণত ট্রানজিটের সময় প্লেন মিস করলে রেসকিউ ফি দেয়া লাগে না।

সকল বিষয়