Select Page

সুইডেনে পড়ালেখা শেষে “চাকরি খোঁজার ভিসা”

May 7, 2021 | চাকরি এবং ওয়ার্ক পারমিট

১. সুইডেনে থাকা অবস্থায় এই ভিসা আবেদন করতে হবে। বর্তমানে এটির কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আপনার ছাত্র ভিসার মেয়াদ থাকা অবস্থায় যদি পড়ালেখা শেষ করতে পারেন , তবে অনলাইনে এই ভিসার আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সুইডেনের বাহিরে থাকলেও আবেদন করার সুযোগ আছে।

২. “পড়ালেখা শেষ” ,,,,এই কথাটির মানে হলো ,,,আপনি সবগুলি কোর্স এ পাশ করেছেন এবং ডিগ্রি পেয়েছেন। সুইডেনে পড়তে এসে আপনি যদি আর কিছুটা পড়ালেখার পরে যদি পড়ালেখা না করতে চান তবে আপনি এই “পড়ালেখা শেষ” আইনের মধ্যে পরবেন না। সোজা বাংলা হলো ,,,সব কোর্স এ পাশ করে সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং সেটি মাইগ্রেশনে দেখাতেও হবে।

৩. মাস্টার্স প্রোগ্রাম ১ বছর মেয়াদি অথবা ২ বছর মেয়াদি যে কোনো মাস্টার্স প্রোগ্রাম শেষে এই ভিসা আবেদন করা যাবে।

৪. নতুন করে ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে , কমপক্ষে ১২ মাসের ভিসা হিসাব করে।

৫. আপনি সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য ভিসা পাবেন। এই ১২ মাসের ভিসা থাকাকালীন সময়ে যখনি চাকরি পাবেন , সাথে সাথে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। (ওয়ার্ক পারমিট শর্ত প্রযোজ্য) এছাড়া ব্যবসা শুরু করেও ব্যাবসা ভিসাও আবেদন করতে পারবেন।

৬. আপনার সুইডিশ পার্সন নম্বর না থাকলে ,,,আলাদা করে ইন্সুরেন্স কিনতে হবে।

৭. সুইডেনে বর্তমানে থাকা আপনার পরিবারের সবাই এই ভিসা পাবেন।

৮. সুইডেনে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে আসা বাংলাদেশি ৯৫% ছাত্র পড়ালেখা শেষ করেন না , সুতরাং তাদের এই ভিসা আবেদনের সুযোগ নেই। তবে সঠিক সময়ে পড়ালেখা শেষ না করলে বা ক্রেডিট/থিসিস বাকি থাকলে উনারা ৬ থেকে ১২ মাসের জন্য “ছাত্র ভিসা” এক্সটেনশন করতে পারবেন।

৯. সাধারন ছাত্র থেকে শুরু করে ইরাসমস মুন্ডুস প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া ছাত্র ছাত্রী সবাই তাদের পড়ালেখা শেষে এই সুবিধা নিতে পারবেন।

১০. শুধু চাকরি নয় , বরং ব্যবসা করার পরিকল্পনা থাকলেও আপনি এই “চাকরি খোঁজার ভিসা” পেতে পারেন। কোন মতেই কোনভাবেই এই ভিসা এক্সটেনশন বা বাড়ানো যাবে না। এই ভিসা থাকা কালীন যে কোনো সময়ে “ব্যবসা ভিসা” আবেদন করা যাবে।

সকল বিষয়