Select Page

ছাত্রের পরিবার ভিসা আবেদন

May 8, 2021 | পড়ালেখা, ভিসা ব্যবস্থা

1. যেহেতু সুইডেনে ছাত্র এর স্পাউস ফ্রি পড়তে পারে বা চাকরি করতে পারে। ফলে বাঙালি এক টিকিটে ২ খেলা খেলতে চায়। একজনের খরচে ২ জন। সত্যিকার স্বামী স্ত্রী বাদ দিলে ,,,দলে দলে সুইডেনে পড়তে আসা বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা নিজেদের বিবাহিত ঘোষনা দিয়ে ,,নিজের ভাবী, বোন, আন্টি, এবং সহপাঠীকে স্পাউস ভিসা দেখিয়ে সুইডেনে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। প্রথমে ধরা না পরলেও সুইডেনের ইমিগ্রেশন সব বুঝতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি ত্যাক্ত বিরক্ত হয় , সুইডেনের ট্যাক্স অফিস। ফলে তারা অফিসিয়ালি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশের “ম্যারেজ সার্টিফিকেট ” বিরুদ্ধে ( Dnr: 202 188549-19/111) ফলে সুইডেনে থাকা অনেকেই আর নিজেদের স্পাউস কে সুইডেনের ট্যাক্স অফিসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি এবং এখনো পারে না।2. এরপরে শুরু হয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথমে বিবাহিত দের ভাইবা নেয়া ,,(অশ্লীল প্রশ্ন করা হয়) এরপর ভিসা রিজেক্ট করা হয়। অনেকেই আর এই সন্দেহের জন্য স্পাউস ভিসা পান নাই।তবে ২ টি ক্ষেত্রে ইম্মিগ্রেশন খুব উদার হয়ে ভিসা দিয়েছিলো।

ক) যাদের বাচ্চা আছে , তাদের বিয়ে নিয়ে কোন সন্দেহ করে নেই

খ ) যাদের পাসপোর্টে স্বামী বা স্ত্রী এর নাম আছে ,,,তাদের সন্দেহ করে নেই।অনেকেই প্রশ্ন করেন স্পাউস ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে ?বাস্তবে কোন কিছুই লাগে না ,,শুধু প্রমান করতে হবে যে , আপনারা সত্যিকার স্বামী স্ত্রী , তাহলে ১০০% নিশ্চিত স্পাউস ভিসা পাবেন। এখন দেখুন কিভাবে প্রমান করবেন আপনারা সত্যিকার স্বামী স্ত্রী ?¨

প্রমান ১. ম্যারেজ সার্টিফিকেট। অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে। বাংলায় হলে সত্যিকার ভালো উকিল দিয়ে ইংলিশ অনুবাদ করে নোটারি করতে হবে। উকিলকে ফোন দিলে যেন ,,সব তথ্য দিতে পারে।

প্রমান ২. পাসপোর্টে স্বামী স্ত্রী হিসেবে নাম থাকতে হবে। আগে এটি বাধ্যতামূলক ছিল না ,,,এখনো কাগজে কলমে বাধ্যতামূলক না। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।

প্রমান ৩. স্বামী স্ত্রী ২ জনের ঠিকানা একই এটি প্রমানের জন্য ,,বাসা ভাড়া , বিদ্যুৎ বিল , হানিমুন প্যাকেজ কিনলে তার টিকিট বা দলিল। ব্যাংকের একাউন্টে একই ঠিকানা লেখা এরকম পেপার ,,, জমা দিতে পারেন। টিন নম্বর/ জন্মনিবন্ধন / হোল্ডিং ট্যাক্স ইত্যাদি সরকারি কোন কাগজ , যেটি দেখায় যে আপনাদের ২ জনের ঠিকানা একই।

প্রমান ৪. বিদেশে কোথাও একসাথে ঘুরতে গিয়েছেন ,,সেই টিকিট , হোটেল বুকিং , বোডিং কার্ড ইত্যাদি দেখাতে পারেন। বিয়ের ছবি, দাওয়াত কার্ড ইত্যাদি দেখাতে পারেন।

প্রমান ৫. বিয়ের যাবতীয় কাগজ ,,,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এটাস্টেড করে নিতে পারেন।

প্রমান ৬. একজন যদি ইতিমধ্যেই সুইডেনে গিয়ে থাকেন তবে বাংলাদেশ এম্বেসি স্টকহোম থেকে ম্যারেজ সার্টিফিকেট এটাস্টেড করতে পারবেন মনে হয়। এছাড়া সুইডেনের ট্যাক্স অফিসে আবেদন করবেন , রিজেক্ট হলেও সমস্যা নেই। অন্তত আমি আবেদন করেছেন ,,,এটাও বড় প্রমান ভিসা পাবার জন্য।

প্রমান ৭. যিনি স্পাউস ভিসা আবেদন করবেন , উনি যদি প্রমান করেন যে, বাংলাদেশে উনি ভালো চাকরি করেন , এবং ২ বছরের ছুটি নিয়েছেন , ছুটি শেষে দেশে ফিরে আবার চাকরি করবেন। …এক্ষেত্রে ভিসা পাবার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশি থাকবে।

কি কি কারনে স্পাউস ভিসা রিজেক্ট হয়।
১. বিয়ের দলিলে আপনাদের জন্ম তারিখ , নামের বানান
এবং এই ধরনের যে কোন “ছোট” ভুল থাকলে ১০০% ভিসা রিজেক্ট হবে।
২. ব্যাংকে যথাযথ পরিমান টাকা না থাকলে বা ব্যাংকের কাগজে জটিলতা থাকলে।
৩. ভাইবাতে সঠিক উত্তর দিতে না পারলে।
৪. সন্দেহজনক কোন ডকুমেন্ট অথবা আচরন করলে।

৫. আপনারা ২ জনেই ছাত্র হলে এবং নতুন বিয়ে করলে সেক্ষেত্রে একটু ভুল হলেই রিজেক্ট হবেন।সবশেষে স্পাউস কে এটি প্রমান করতে হবে যে , আপনি সুইডেনে যাবেন মূলত অল্প কিছুদিনের জন্য। ছাত্র এর পড়ালেখা শেষে বাংলাদেশে ফেরত যাবেন ,,,এটি নিশ্চিত ভাবে বুঝায়ে দিতে হবে।আপনার আশেপাশের বাটপার থেকে দূরে থাকুন। কাউকে ভুয়া বিয়ে করে ভিসা আবেদন করবেন না।

সকল বিষয়