বিদেশ থেকে বাংলাদেশে মোবাইল নিয়ে যাওয়া।
নতুন আইন অক্টোবর ২০২১
আমরা যারা প্রবাসী অথবা যারা বিদেশে বেড়াতে যান অথবা যে কেউ ,,,, বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ পেলেই বিদেশ থেকে মা বাবা ভাই বোন এমনকি বন্ধু বা পাশের বাড়ির সুন্দরী কারো জন্য মোবাইল কিনে নিয়ে যাই। আগে এই ধরনের বিদেশ থেকে নিয়ে আসা যে কোন মোবাইল ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করা যেতো। তবে সেই দিন আরো নেই। নতুন নিয়ম হয়েছে।
১. বিদেশ থেকে যে কোন মোবাইল নিয়ে গেলে সেটি বাংলাদেশে সরকারি ভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে , নতুবা সেই মোবাইল বন্ধ বা লক হয়ে যাবে।
২. রেজিস্ট্রেশন করা খুব সহজ , আপনার লাগবে পাসপোর্ট এর কপি। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে টাকা লাগবে না। বান্ধবী** উপহার দিয়েছে ,,এটি লিখলে ,,মোবাইল কেনার রশিদ দেখাতে হবে না।
৩. প্রতিবার বিদেশ থেকে দেশে যাবার সময় আপনার পাসপোর্টে যে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সিল দেয় বা ইমিগ্রেশন এর কাগজের কপি দেখিয়ে সর্বোচ্চ ২ টি মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন , ফ্রিতে।
৪. দুইটির বেশি মোবাইল দেশে নিয়ে গেলে সেক্ষেত্রে আপনাকে এয়ারপোর্টেই ট্যাক্স দিতে হবে। এভাবে ট্যাক্স দিয়ে আপনি আরো ৬ টি মোবাইল নিতে পারবেন। অর্থাৎ দুটি ফ্রি এবং ৬ টি ট্যাক্স দিয়ে মোট ৮ টি মোবাইল নিতে পারবেন। মোবাইল সেটের ট্যাক্স বা শুল্ক এর পরিমান হলো সব মিলিয়ে দামের প্রায় ৩৫%. উল্লেখ্য যে আপনার মোবাইল কেনার রশিদে দাম যাই লেখা থাকুক , সেটি বিবেচিত হবে না। বরং বর্তমান সেই সেটের বাজারমূল্য বিবেচনা করে ৩৫% ট্যাক্স বা শুল্ক দিতে হবে। এই বাজার মূল্য নির্ধারন করবেন ঢাকা এয়ারপোর্টের ট্যাক্স বা শুল্ক অফিসার।
৫. ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে আপনি হয়তো মোবাইল দেশে নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। কারন ইম্মিগ্রেশন এর কাগজ অনুযায়ী আপনার দেশে যাবার তারিখে বেশি মোবাইল রেজিস্ট্রেশন হবে না।
৬. বাংলাদেশে ঘরে বসেই দেখতে পারবেন , আপনার মোবাইলটি বৈধ নাকি অবৈধ। খুব সহজ
আপনার মোবাইল ফোনর মেসেস অপশনে গিয়ে KYD লিখে একটি Space দিয়ে ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখুন। উদাহরণস্বরূপঃ KYD 123456789012345…
IMEI নম্বরটি লিখার পর ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণ করুন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাৎক্ষনিক ফিরতি মেসেস এর মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
১ অক্টোবর থেকে সব ধরনের অবৈধ মোবাইল ফোন সেট চালু করতে গেলে তা গ্রাহককে এসএমএস পাঠিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে। এসএমএসে জানানো হবে, ‘সেটটি অবৈধ, কিছুক্ষণের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে’।
৭. এইবার কিছু বিশেষ বুদ্ধি। আপনি যদি স্বপরিবারে দেশে যান তবে জনপ্রতি ২ টি করে মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অর্থাৎ চারজন দেশে গেলে ৮ টি মোবাইল ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। সাথে আরো দুই ডজন মানে ২৪ টি মোবাইল নিতে পারবেন ট্যাক্স দিয়ে।
৮. প্রবাসী যারা দেশে বেড়াতে যাবেন , উনাদের চিন্তার কোন কারন নেই। কারন কোন প্রকার রেজিস্ট্রেশন না করেই বাংলাদেশে প্রবেশের ৩ মাস পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। ৩ মাসের বেশি দেশে থাকলে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েন অথবা অন্য মোবাইল কিনতে পারেন ।
৯. যারা অতীতে ১ জুলাই ২০২১ এর আগে বিদেশ থেকে মোবাইল নিয়ে গেছেন বা কিনেছেন। তাদের কোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। সেগুলি অটোমেটিক রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। সুতরাং সেই সেটগুলি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
১০. বাংলাদেশের আইন কানুন এর আগা মাথা পা** ,,,আমি ঠিকমত বুঝি না। তাই কোন তথ্যের গ্যারান্টি নেই।
বিস্তারিত জানতে দেখুন
http://www.neir.btrc.gov.bd/auth/instructions