Select Page

বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে কি কি জিনিস নেয়া যাবে ?

Mar 3, 2023 | Uncategorized, অভিবাসন এবং ভিসা, আইন, থাকতে হলে জানতে হবে, ভ্রমন

 বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে কি কি জিনিস নেয়া যাবে ?

না জেনে এবং না বুঝে অনেকেই অনেক কথা বলে , যেটি সত্য না।  আইনে অনেক কিছু নিষিদ্ধ হলেও অনেক সময় এয়ারপোর্টে ঠিকমত চেক বা যাচাই বাছাই করা হয় না।  ফলে  আইনে নিষিদ্ধ হয়েও অনেকে অনেক কিছু নিয়ে সুইডেনে গিয়েছে বা যাচ্ছে।  মনে রাখবেন আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলে।  আইন নিষিদ্ধ কিছু করে ধরা পরলে , আপনার ভিসা বাতিল , জেল জরিমানা এবং ইউরোপে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।  তাই আইন মেনে জিনিসপত্র বহন করুন। 

   1. প্রথমেই সিগারেট এবং মদ।  আপনি অল্প কিছু পরিমান সিগারেট (সর্বোচ্চ ২০০টি সিগারেট) এবং মদ নিয়ে সুইডেনে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে এয়ারপোর্টে ট্যাক্স দিতে হবে, খুবই অল্প পরিমান হলে ট্যাক্স মাফ করে দিতে পারে। ।  ট্যাক্স দেবার পরে দাম যেটি দাঁড়াবে তার থেকে কম দামে আপনি সুইডেনেই কিনতে পারবেন।  তাই বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে যাবার সময় সিগারেট বা মদ নেবার চিন্তা বাদ  দেয়াই ভালো। 

   2. কুকুর বিড়াল পাখি বা অন্যান্য গৃহপালিত পশু। হ্যা।  আপনি এগুলি নিয়ে সুইডেনে যেতে পারবেন।  তবে যাবার আগে আপনাকে এইসব পশুর ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট এবং মালিকানা কাগজ দেখিয়ে আলাদা করেই অনুমতি নিয়ে নিবেন।  নতুবা এয়ারপোর্টে আটকে দিবে।  সাথে কোন জীবিত পশু থাকলে আপনাকে অবশ্যই “রেড চ্যানেল” দিয়ে যেতে হবে। 

     3. যেকোন ধরণের অস্ত্র বা এজাতীয় কিছু বহন করতে হলে ভ্রমনের আগেই অনুমতি নিতে হবে।  নতুবা এগুলি বহন নিষিদ্ধ। 

     4. যেকোন প্রকার গাছের চারা,বীজ , ফুল, ফল অথবা সবজি বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এছাড়া কাঁচা  মাংস অথবা রান্না করা মাংস , দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি দই সেমাই ইত্যাদি বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। শুধু  বাচ্চার খাবার এবং অসুস্থ্য মানুষের জন্য খাবার বহন করতে পারবেন।  কোন নিষিদ্ধ খাবার নিয়ে ধরা পরলে  সাথে সাথে সব খাবার ফেলে দিবে এবং আপনাকে জরিমানা করবে , ফলে সুইডেনের পিআর বা পাসপোর্ট পেতে অনেক ঝামেলা হবে।  এছাড়া নিষিদ্ধ খাবারে যদি কোন “খারাপ” উপাদান পায়  তবে আপনাকে জেল সহ  নানাবিধ শাস্তি দিতেও পারে।    

       5. সুইডিশ আইনে পরিষ্কার ভাবে লেখা আছে যে , আপনি অন্য কারো জন্য কোন ওষুধ নিয়ে ভ্রমন করতে পারবেন না।  তবে নিজের বা নিজের বাচ্চার জন্য ওষুধ নিয়ে ভ্রমন করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রেও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সাথে থাকতে হবে। নিজের বা নিজ বাচ্চার জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাসের সমপরিমান ওষুধ নিতে পারবেন , এর বেশি না।  অনেকেই না বুঝে অন্যের ওষুধ নিয়ে যাতায়ত করেন , অন্য কারো ওষুধ বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, প্রেসক্রিপশন থাকলেও সেটা নিষিদ্ধ।  সেক্ষেত্রে ধরা পরলে আপনি “মাদকপাচার” মামলায় ভয়ানক শাস্তি পেতে পারেন। সুতরাং সময় থাকতেই সাবধান হন।

   6. ক্যাশ টাকা বা ডলার বা পাউন্ড বা যেকোন মুদ্রা   নিয়ে আপনি ভ্রমন করতে পারবেন।  তবে এই মুদ্রার পরিমান যদি ১০ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশী ১১ লক্ষ টাকার বেশি হয় তবে আপনাকে সুইডেনে এয়ারপোর্টে যাবার আগেই অনলাইনে ঘোষনা দিতে হবে।  নতুবা এত টাকা নিয়ে ধরা পরলে  সব টাকা বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।  

      7. মনে রাখবেন উপরের সব গুলি আইন শুধুমাত্র বাংলাদেশ  থেকে সুইডেনে যাবার সময় প্ৰযোজ্য। 

      8. ইউরোপের অন্য দেশ থেকে সুইডেনে যাতায়াতের সময় উপরের আইনগুলি প্রযোজ্য হবে না।

    9. উপরের সবগুলি আইন শুধু প্লেনে যাতায়াতের জন্য প্রযোজ্য।

   10. বাস/ ট্রেন অথবা লঞ্চে বা ফেরিতে করে সুইডেনে গেলে উপরের আইনগুলি প্রযোজ্য হবে না।     

11. আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ডেনমার্ক / কোপেনহেগেন যান এরপর সুইডেনে যান।  তবে সেক্ষেত্রে আপনার ইউরোপিয়ান ইম্মিগ্রেশন হবে ডেনমার্কে।  ফলে আপনাকে ডেনমার্ক এর আইন মানতে হবে , সুইডেনের আইন নয়। 

আপনি হয়তো আইন নিষিদ্ধ কিছু নিয়ে সুইডেনে ভ্রমন করেছেন।  কিন্তু এয়ারপোর্টে ধরা পরেন নাই , তাই শাস্তি হয় নাই।  এটার মানে এই না যে , সেই আইন নিষিদ্ধ জিনিস বৈধ হয়ে গেছে।  বরং নির্মম সত্য হলো ,,আপনি আসলে চুরি করেছেন কিন্তু ধরা পরেন নাই , তাই শাস্তি হয় নাই।  চোরের বেটা চোর এখন সিদ্ধান্ত নিন , ভবিষ্যতে আপনি চুরি করবেন কিনা !!!

ভালো থাকুন , সবার জন্য শুভকামনা 

https://www.tullverket.se/en/startpage/private/travelling/travellingtosweden.4.7df61c5915510cfe9e75a05.html

https://www.lakemedelsverket.se/sv/behandling-och-forskrivning/kopa-anvanda-och-hantera/resa-med-medicin#hmainbody1

সকল বিষয়