সুইডেন নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডে,,, বাংলাদেশী পাসপোর্ট রিনিউএখন বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনেক উন্নত হয়েছে। মায়া লাগানো এই সবুজ পাসপোর্টের প্রতি ভালোবাসা কখনো কমে না। বর্তমানে হাতে লেখা বাংলাদেশী পাসপোর্ট আর নেই। যা এখন প্রচলিত আছে তা হলো “এম আর পি” পাসপোর্ট, Machine Readable Passport (MRP)আর কিছুদিনের মধ্যেই আশাকরি চালু হবে ই-পাসপোর্ট।সুইডেন নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডে বসবাসকারী সবাইকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট রিনিউ করতে হলে ,,স্টকহোমে অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বেসিতে যোগাযোগ রাখতে হবে।”এম আর পি” পাসপোর্ট বা Machine Readable Passport (MRP) রিনিউ করার নিয়ম এবং আমার পরামর্শ
১. প্রথমে এই ফর্ম টি ডাউনলোড করতে হবে এখান থেকে
http://bangladoot.se/wp-content/uploads/2019/02/MRP_Information_Alteration_Correction.pdf
২. ন্যাশনাল আইডি কার্ড / ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি সার্টিফিকেট (17 সংখ্যার নম্বর সহ) লাগবে। যদি এটি না থাকে তবে স্টকহোম বাংলাদেশের এম্বেসী থেকে “ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন” নেয়া যাবে। খরচ সব মিলিয়ে ২০০ ক্রোনোর এর মত লাগতে পারে।
৩. আপনার আগের পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে।
৪. ছবি লাগবে ২ কপি। সাইজ হলো 55×45 mm, বাচ্চার পাসপোর্ট করতে চাইলে মা বাবার ছবি লাগবে। সাথে ছবি না থাকলে ,,,স্টকহোমে বাংলাদেশ এম্বেসির পাশে মেট্রো বা তূনেলবানা স্টেশনে ,,,ফটো তোলার অটোমেটিক মেশিন আছে ,,,সেখান থেকে ফটো নিতে পারেন ,,,তবে খরচ একটু বেশি হবে।
৫. পাসপোর্ট রিনিউ এর ফি এম্বেসীর একাউন্টে জমা দিতে হবে এবং সেটার প্রিন্ট কপি নিয়ে যেতে হবে। ফি হলো জনপ্রতি ১১০০ সুইডিশ ক্রোনোর তবে অনার্স বা মাস্টার্স ছাত্র হলে ৩৩০ সুইডিশ ক্রোনোর। এম্বেসীর একাউন্ট bank giro 131-2438
৬. সকল কাগজপত্র রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বাংলাদেশ এম্বেসী স্টকহোমে পাঠিয়ে দিন।কিন্তু যদি আপনার তথ্য উনাদের কম্পিউটারে পাওয়া না যায় ,,,,তবে আঙুলের ছাপ ও ছবি তোলার জন্য আপনাকে এম্বেসীতে সরাসরি স্বশরীরে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সময় বুকিং দিয়ে যেতে হবে। http://bangladoot.se/online-booking/
৭. এখানে দেখতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনাhttp://bangladoot.se/mrp-application/
,,,যদি রেডি হয়ে থাকে তবে আপনাকে এম্বেসীতে সরাসরি স্বশরীরে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সময় বুকিং দিয়ে যেতে হবে।এম্বেসী এর ঠিকানা ও যোগাযোগের উপায়http://bangladoot.se/contact-us/
কিছু প্রশ্নের উত্তর
i) পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে কি করতে হবে ?
উত্তর : প্রথমে অনলাইনে পুলিশে রিপোর্ট করে (বিকল্প ফোন ১১৪১৪) ,,,,সেটার কপি নিতে হবে ,এরপর অনলাইন এ নতুন পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে http://www.passport.gov.bdউপরের 2-7 প্রক্রিয়াতেই বাকি কাজ করতে হবে।
ii) পাসপোর্ট এর মেয়াদ কতদিন থাকা অবস্থায় রিনিউ করা যায় ?
উত্তর: পাসপোর্ট এর মেয়াদ এর উপর ভিসার মেয়াদ নির্ভর করে। তাই পাসপোর্ট এর মেয়াদ ২ বছর বাকি থাকলেও আপনি রিনিউ এর আবেদন করতে পারবেন। মূলকথা মেয়াদ শেষ হবার কমপক্ষে ৬ মাস আগে রিনিউ করুন।
বাংলাদেশী ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া :যেহেতু এটি এখনো চালু হয় নাই , তাই সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব না। তবে ধারনা করি
১. অনলাইন এ আবেদন করতে হবে
২. আগের পাসপোর্ট এবং জন্ম নিবন্ধন এর কাগজ লাগবে
৩. পাসপোর্ট এর জন্য ফি জমা দিতে হবে ,,,এবং সেটি মোটামুটি ভালৈ ব্যয়বহুল হবে ¨
৪. এম্বেসিতে সময় বুকিং দিয়ে ,,স্বশরীরে যেতে হবে (ছবি ও আঙুলের ছাপ দেবার জন্য)। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সময় বুকিং দিয়ে যেতে হবে। http://bangladoot.se/online-booking/
৫. পাসপোর্ট রেডি হলে আবার এম্বেসিতে সময় বুকিং দিয়ে ,,স্বশরীরে যেতে হবে।সাধারনত ই পাসপোর্ট এ যে যে তথ্য লেখা থাকে না ( সুইডিশ ই পাসপোর্ট অনুযায়ী )১. বাপের নাম/ স্বামীর নাম২. মায়ের নাম৩. বর্তমান ঠিকানা৪. স্থায়ী ঠিকানা৫. জরুরি প্রয়োজনের ঠিকানা, সম্পর্ক ও ফোন নম্বর৬. জন্মনিবন্ধন নম্বর৭. পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর৮. পেশা৯. উচ্চতা১০. চোখের ও চুলের রং১১. লক্ষণীয় বিশেষ চিহ্নতবে বাস্তবে
ই পাসপোর্টে থাকে কম্পিউটার চিপ Electronic System for Travel Authorization (ESTA) ফলে অনেক তথ্য এবং হাতের ছাপ এর অনুলিপি লুক্কায়িত থাকে ।